এই কর্মশালা আরো আগে করলেননা কেন?

নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার শিহারা ইউনিয়নের বাসিন্দা রমযান আলী। তিনি একজন আরটিআই এক্টিভিষ্ট। দি হাঙ্গার প্রজেক্টের আয়োজনে তথ্য অধিকার বিষয়ক চার দিনের প্রশিক্ষণ শেষে এলাকায় ফিরে চকমনোহর গ্রামের প্রায় ৩০ জন বাসিন্দাকে নিয়ে বসেন। তারা বসেছিলেন আদিবাসী মঙ্গল উড়াও এর বাড়িতে। এক্টিভিষ্ট রমযান সেখানে তথ্য অধিকার কী? কেন প্রয়োজন? সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে তথ্যের গরুত্ব কী? কীভাবে ফরম পূরণ করতে হবে? এইসব বিষয় নিয়ে অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়ায় আলোচনা করেন। আলোচনার এক পর্যায়ে মঙ্গল উড়াও বলেন সরকারী বনায়ন এর আওতায় তারা গাছ লাগিয়েছিলেন ১৯৯৫ সালে। যার মৌজা মাটিকাটা, সাবেক দাগ ২৩১। জমির পরিমান দুই একর দশ শতক। প্রতি বছর যেসব গাছ ঝড়ে নষ্ট হয় তা অকশনের পূর্বে প্রায় তিন ট্রাক পরিমান হয়েছিলো। এরপর গাছগুলো অকশনে বিক্রি করা হয়। এরপর মঙ্গল কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানান গাছ বিক্রি হয়নি। যেহেতু মঙ্গল খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছিলেন যে, অন্যরা গাছ বিক্রির টাকা পেয়েছে ফলে তিনি পূনরায় যোগাযোগ করেন। তখন তারা তার কাছে টেন্ডার খরচ বাবদ টাকা দাবী করেন এবং অগ্রনী ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে বলেন। মঙ্গল তাদের দাবীকতৃ টাকা দেন এবং ব্যাংক একাউন্ট খোলেন। তারপরও কর্মকর্তাগণ তাকে শুন্য হাতে ফিরিয়ে দেন। আর তাই ঐ টাকা পাবার আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন মঙ্গল। কিন্তু কর্মশালার আলোচনা শুনে তার মনে পুনরায় আশার সঞ্চার হয়। তিনি রমজানকে বলেন এই কর্মশালা আরো আগে করলেননা কেন? আমিও কি আবেদন করতে পারবো? এক্টিভিষ্ট রমযান এর কাছ থেকে হ্যা সূচক উত্তর পাবার পর তিনি রমযানকেই অনুরোধ করেন তার পক্ষে আবেদন করার জন্য। তার অনুরোধের প্রেক্ষিতে ১৯৯৫ সালে সামাজিক বনায়নের আওতায় শিহারা ইউনিয়নে বৃক্ষরোপন সংক্রান্ত সার্বিক তথ্য চেয়ে আবেদন করেন রমযান আলী। মার্চের ৩ তারিখ তথ্য প্রদানের শেষ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর কর্তৃপক্ষ কোন উত্তর না দেয়ার কারণ জানানোর লক্ষ্যে একজন কর্মকর্তা ফোনে যোগাযোগ করেন এবং বলেন প্রাতিষ্ঠানিক ব্যস্ততার কারণে তার চাহিত তথ্য তারা দিতে পারেননি। তবে আগামী ৭ মার্চের মধ্যেই তার চাহিত তথ্য পেয়ে যাবেন।