ইয়ূথ এন্ডিং হাঙ্গার-বাংলাদেশের পঞ্চদশ জাতীয় সম্মেলনের সফল সমাপ্তি

Guests on the Table 1”হাত রখি হাতে, দৃপ্ত শপথে কন্ঠতুলি একসাথে” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ডিসেম্বর ২৭-২৮, ২০১২ পর্যন- দুই দিনব্যাপী পঞ্চদশ জাতীয় সম্মেলন কমিটির আয়োজনে সাভার গণস্বাস’্য কেন্দ্র মিলনায়তনে আনন্দঘন পরিবেশে ইয়ূথ এন্ডিং হাঙ্গার-বাংলাদেশের সম্মেলন অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন ইউনিয়ন, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় এক হাজার মেধাবী ও স্বেচ্ছাব্রতী সংগঠক (ছাত্র-ছাত্রী)-র অংশগ্রহণে দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের বিভিন্ন পর্বে উপসি’ত থেকে অনুভূতি প্রকাশ করেন প্রধান অতিথি ড. আকবর আলী খান, সাবেক উপদেষ্টা তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এছাড়া-ও উপসি’ত ছিলেন জনাব নজরুল ইসলাম খান, সচীব, তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়, রোজমেরী আর্নট, পরিচালক, বৃটিশ কাউন্সিল, জনাব সাইফল ইসলাম শিশির, নির্বাহী পরিচালক, গণস্বাস’্য কেন্দ্র, জনাব  ড. বদিউল আলম মজুমদার, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-এর গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কান্ট্রি ডিরেক্টর, জনাব ইলিয়াস কাঞ্চন, সভাপতি, নিরাপদ সড়ক চাই এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, জনাব আহসানুল হক, প্রাক্তন উপাচার্য, বাংলাদেশ পিপলস ইউনিভার্সিটি, জনাব সৈয়দ মাসুদ হোসেন, হেড অব পার্টনারশিপ এন্ড সিটিজেনশিপ, বৃটিশ কাউন্সিল, অধ্যাপক মুনির হাসান, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি, ড. মাহবুব মজুমদার, কোচ, বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি, জনাব মানিক মাহমুদ, লোকাল ডেভলপমেন্ট এক্সপাটর্, ইউএনডিপি (এটুআই প্রকল্প), জনাব ড. হামিদা হোসেন, মানবাধিকার কর্মী, জনাব তাজিমা হোসেন মজুমদার, প্রোগ্রাম ম্যানেজার, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট, জনাব মো: হাসান আলী, ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটর, ইয়ূথ এন্ডিং হাঙ্গার-বাংলাদেশ, জনাব মাহমুদুল হাসান তুহিন, আহবায়ক, পঞ্চদশ জাতীয় সম্মেলন কমিটি।প্রধান অতিথি ড. আকবর আলী খান, তার অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, যুব শক্তি এ দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ। এ সম্পদকে যদি ব্যবহার করতে পারি তাহলে অনেক অনেক এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। আর এ জন্য প্রয়োজন দেশের ভৌত পুঁজির, পর্যাপ্ত মানব সম্পদ এবং পারস্পারিক সৌহার্দ্যের মাধ্যমে সামাজিক পুঁজির পরিপূর্ণ ব্যবহার।

নজরুল ইসলাম খান, সচীব, তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়, বলেন, জ্ঞানকে নিজের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। সরকারী কার্যক্রমের পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়ে পারস্পরিক যোগাযোগের মাধ্যমে অনেক  কাজ করা সম্ভব। এক্ষেত্রে তরুনদেরকেই মূল ভূমিকা পালন করে দেশকে সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

বাংলাদেশ পিপলস ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন উপাচার্য ড,আহসানুল হক বলেন, বাংলাদেশে গণশিক্ষাকে ছড়িয়ে দিতে তরুনরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

মানবাধিকার কর্মী ড. হামিদা হোসেন বলেন,  শুধু ব্যক্তির পরিবর্তন হলে হবে না, সমাজের বিভিন্ন স-রে পরিবর্তন আসতে হবে। এ ক্ষেত্রে ইয়ূথ এন্ডিং হাঙ্গার দক্ষতাবৃদ্ধি ও সচেতন করার যে কাজটি করছে তা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান বাংলাদেশকে প্রতি বর্গকিলোমিটারে বিশ্বের সবচাইতে বেশী বুদ্ধিমত্তার দেশ হিসেবে উল্লেখ করে বাংলাদেশের উন্নয়নে মেধাবী নেতৃত্ব এবং তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারে গুরুত্ব আরোপ করেন।

অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্যোক্তা দি হাঙ্গার প্রজেক্ট- বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ও গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, তৃণমূল থেকে সমবেত অংশগ্রহণকারীদের মতামতের ভিত্তিতে বাংলাদেশকে বদলানোর একটি রূপরেখা তৈরী করতে হবে। তারুন্যের নেতৃত্বে,তরুনদের প্রচেষ্টায় একটি নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টি হবে।

দেশের গান, কুইজ প্রতিযোগিতা ও সমবেত নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হওয়া সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা আত্মমর্যাদাপূর্ণ ও আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ অর্জনের লক্ষ্যে পরিচালিত গণজাগরণের প্রচেষ্টায় তরুনদের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাব্রতী উদ্যোগ ও অর্জনের গঠনমূলক পর্যালোচনা ও তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন। সম্মেলনে অংশগ্রহনকারীরা ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে স্বেচ্ছাশ্রমভিত্তিক গণজাগরণ সৃষ্টি করার উদ্দেশ্য নিয়ে আগত বছরের জন্য একটি সমন্বিত প্রত্যাশা নির্ধারণ করে।

উল্লেখ্য যে, স্বেচ্ছাব্রতী সংস’া দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-এর অনুপ্রেরণায় সৃষ্ট ইয়ূথ এন্ডিং হাঙ্গার স্বেচ্ছাব্রতী ছাত্র-তরুণদের সংগঠন। এই সংগঠন সারা দেশে কিশোর-তরুণদের আলোকিত ও নিবেদিত  মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে তাদের অবসর সময়ে তৃণমূল পর্যায়ে তাদেরকে সংগঠিত করার কাজ করে যাচ্ছে। এই সংগঠনের উদ্দেশ্য হলো :(ক) কিশোর-তরুণদের মেধার ও সৃজনশীলতার সর্বোচ্চ বিকাশ ঘটানোর লক্ষ্যে তাদেরকে উৎসাহিত ও সংগঠিত করা; (খ) তাদের মধ্যে সামাজিক দায়বদ্ধতার বোধ, সমাজ সচেতনতাবোধ ও সৎ নাগরিক হওয়ার আকাঙ্ক্ষা জাগ্রত করা; এবং (গ) তাদের মধ্যে আত্মনির্ভরশীলতার মানসিকতা সৃষ্টি করা।