ষাটগুম্বজ ইউনিয়নে মতবিনিময় সভা “উন্নয়ন কার্যক্রম দেখে অভিভূত ও মুগ্ধ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ”

ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে এবং দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-এর স্বেচ্ছাব্রতীদের সহায়তায় টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনে বাগেরহাট সদর উপজেলার ষাটগুম্বজ ইউনিয়নে পরিচালিত কার্যক্রম দেখে অভিভূত ও মুগ্ধ হয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও নেদারল্যান্ড থেকে আগত একদল আমন্ত্রিত প্রতিনিধি। প্রতিনিধিবৃন্দের আগমন উপলক্ষে ২৫ মার্চ ২০১৯, বিকাল ৩.০০টায় ইউনিয়ন পরিষদের সভাকক্ষে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সভায় আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ ছাড়াও দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-এর গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. বদিউল আলম মজুমদার, ষাটগুম্বজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, পরিষদের সদস্যবৃন্দ এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাব্রতীবৃন্দ।

ড. বদিউল আলম মজুমদার তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদগুলো যদি স্থানীয় পর্যায়ে সফলতার সাথে এসডিজি বাস্তবায়নের কার্যক্রম চালিয়ে যায়, তবে দেশের উন্নয়ন দ্রুতগতিতে সম্পন্ন হবে।’ এসডিজির অভীষ্টগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এর আগে সভার শুরুতে ইউপি চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান বাচ্চু তার ইউনিয়নে এসডিজি বাস্তবায়নে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-এর স্বেচ্ছাব্রতী দলের সক্রিয় ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি তার ইউনিয়নে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য দূর করার জন্য পরিচালিত সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কার্যক্রম বিশদভাবে ব্যাখ্যা করেন। গ্রাম উন্নয়ন দল এক্ষেত্রে পরিষদকে সহযোগিতা করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। ষাটগুম্বজ ইউনিয়নে নিয়মিত ওয়ার্ডসভা, স্থায়ী কমিটির সভা, উন্মুক্ত বাজেট অধিবেশন এবং ইউনিয়ন পরিষদের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয় জানান তিনি।

এরপর ভিডিটির সদস্য মোল্লা নজরুল ইসলাম জানান, উজ্জীবক, নারীনেত্রী, ইয়ুথ লিডার, গণগবেষক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত হয়েছে রাজাপুর গ্রাম উন্নয়ন দল। এই দলের নিয়মিত ফলো-আপ সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং গ্রামের উন্নয়নে বিভিন্ন কর্ম-পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে গণগবেষণা সমিতিগুলো উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে বলে জানান তিনি।

ইউনিয়ন পরিষদের পারিবারিক বিরোধ নিরসন, স্বাস্থ্য-শিক্ষা-শিশুকল্যাণ স্থায়ী কমিটির সভাপতি মরিয়ম বেগম জানান, স্বাস্থ্যসেবা দিতে, বিদ্যালয় থেকে শিশুদের ঝরে পড়া রোধ করতে এবং নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর করতে তিনি ও তার কমিটি এবং দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-এর স্বেচ্ছাব্রতী দল ও গ্রাম উন্নয়ন দল কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। নারীনেত্রী মমতা সেন একজন নারীনেত্রী হিসেবে কমিউনিটিতে তার ভূমিকা ব্যাখ্যা করেন। সুরমা জিজিএসের সম্পাদক নাজমা বেগম ক্ষুধা-দারিদ্র্য দূর করতে গণগবেষণা সমিতিগুলোর কার্যক্রম ও সফলতা তুলে ধরেন।