তথ্য প্রদান করে বর্তমানে বেকায়দায় চিকিৎসকগণ

মহাদেবপুর উপজেলার স্বাস্থ কমপ্লেক্সটি প্রায় দিনই চিকিৎসক শুন্য থাকার তথ্য সাংবাদিক লিয়াকতের কাছে ছিলো। যার ফলে ঐ হাসপাতালে রোগীদের ভোগান্তিও ছিলো মাত্রাতিরিক্ত। আর এলাকার দরিদ্র মানুষের অতিরিক্ত টাকা খরচ করে ক্লিনিকে ডাক্তার দেখানোর সামর্থ না থাকায় বাধ্য হয়েই যেতে হত ঐ স্বাস্থকমপ্লেক্সে। তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে জানার পর এক্টিভিষ্ট লিয়াকত ঐ স্বাস্থকমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের কাছে ক ফরমে বিভিন্ন তথ্য চেয়ে আবেদন করেন। তিনি কমকর্তা কর্মচারীগণের অফিস আসার নিয়মাবলীসহ বিগত দিনের উপস্থীতির স্বাক্ষর খাতা দেখতে চেয়েছিলেন। পাশাপাশি আরো জানতে চেয়েছিলেন যে, রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কী ধরণের যন্ত্র রয়েছে।

তার আবেদনের পরে কর্তৃপক্ষ তাকে তথ্য প্রদান করেন। এরপর লিয়াকত খবর নিয়ে জানতে পারেন বর্তমানে স্বাস্থকমপ্লেক্সে চিকিৎসকগণ নিয়মীত রোগী দেখছেন। নিয়োগ প্রাপ্ত শিশু বিশেষজ্ঞ পূর্বে সপ্তাহে দুদিন বসলেও বর্তমানে সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া প্রায় প্রতিদিনই রোগী দেখছেন। অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ সকাল ৮টার পূর্বেই অফিসে উপস্থীত হচ্ছেন।
হাসপতালে এখন প্রায় সকল ধরনের পরীক্ষা-নিরিক্ষাই করা হচ্ছে, যেগুলো পূর্বে যন্ত্র নষ্ট থাকার অযুহাত দিয়ে ব্যবহার করা হতোনা। এখন তথ্য অধিকার আইন নামে একটি নতুন ফাইল খোলা হয়েছে। এরপর যারা আবেদন করবেন তাদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার উদ্দেশ্যেই এটি করা হয়েছে বলে মনে করেন তথ্য অধিকার এক্টিভিষ্ট লিয়াকত।