সাড়া জাগালো একটি তথ্য আবেদন

দি হাঙ্গার প্রজেক্টের প্রনোদনায় পরিচালিত তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ এর জন অংশগ্রহণ বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রমের দিনাজপুর জেলার একজন সক্রিয় কর্মী বিপ্লব চন্দ্র দে কুনাল। তিনি রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে দিনাজপুর জেলার সদর উপজেলার সকল সরকারি দপ্তরের তথ্য কর্মকর্তা এবং আপিল কর্মকর্তান নাম, পদবী, ইমেল, মোবাইল নম্বর চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনের কিছু দিন পর তাকে ফোন করে জানানো হয় তার চাওয়া তথ্য প্রস্তুত হয়েছে, তিনি যেন তা সংগ্রহ করেন। তিনি দিনাজপুর এ বসবাস করেন বিধায় তথ্য গ্রহণকারী হিসেবে রংপুরস্থ অন্য একজনকে মনোনীত করেছিলেন। তার মনোনীত ব্যক্তি আরটিআই এক্টিভিষ্ট হাফিজ তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে তথ্য সরবরাহের পর জানানো হয় সহকারি বিভাগীয় কমিশনার জনাব লায়লা আঞ্জুমান বানু তথ্য গ্রহণকারীর সাথে দেখা করতে চেয়েছেন। তথ্য গ্রহণকারী সহকারি বিভাগীয় কমিশনার মহোদয়ের কক্ষে যাওয়ার পর তিনি অত্যন্ত আগ্রহের সাথে এই কার্যক্রমের আদ্যোপান্ত জানতে চান। বিষয়টি পুরো শোনার পর তিনি প্রশড়ব করেন জনগণ বিষয়টি আগ্রহ ভরে নিচ্ছে কিনা। এরপর তিনি জানান তথ্য অধিকার আইনের আওতায় এটাই ছিল বিভাগীয় কমিশনারের অফিসে প্রম আবেদন। এই আবেদনের বিষয়ে বিভাগীয় কমিশনারকে অবহিত করলে তিনি এটিকে মাসিক সভার আলোচ্য সূচীতে অন্তর্ভূক্ত করার নির্দেশ প্রদান করেন। রংপুর বিভাগের সকল জেলা প্রশাসকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সেই মাসের মাসিক সভায় তিনি বিষয়টি উপস্থাপন করেন এবং প্রত্যেক জেলার সকল সরকারি দপ্তরের তথ্য প্রদান কর্মকর্তার তথ্য সংগ্রহ করে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে প্রেরণ করতে নির্দেশ করতে বলেন এবং এই আদেশ সংক্রান্ত চিঠি সকল জেলা প্রশাসকের হাতে তুলে দেন। জেলা প্রশাসকগণ নিজ নিজ জেলার সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে একই নির্দেশ প্রদান পূর্বক পত্র প্রেরণ করেন। খুব কম সময়ের মধ্যেই সকল উপজেলা থেকে তথ্য জেলা পর্যায়ে আসে এবং সেগুলো জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়। সহকারি বিভাগীয় কমিশনার জানান, এই একটি আবেদনের জন্য পুরো বিভাগের কয়েকশত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিকে কাজ করতে হয়েছে এই কথাটি জনগণকে জানিয়ে দিতে, যাতে জনগণ এই আইনের শক্তিটি জানতে পারে এবং চর্চা করতে উৎসাহিত হয়। তিনি এই কাজটি শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তি ও সংগঠনকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। শুধু চারটি জেলায় কাজটি চলমান আছে জেনে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, এই কাজ শুধু চার জেলায় হবে কেন? তিনি বলেন এই কাজ দেশের সকল জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নে চালু করা খুবই প্রয়োজন। তিনি কাজটি দেশের সকল জায়গায় ছড়িয়ে দেয়ার আহবান জানান।