করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যৌথভাবে লড়তে আহ্বান জানান বিকশিত নারী নেটওয়ার্কের জনাব সৈয়দা আরমিনা আক্তার।

“এ লড়াই একার নয়, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যৌথভাবে লড়তে হবে” এমনই উদ্দীপ্ত আহ্বান জানান বিকশিত নারী নেটওয়ার্কের মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সভাপতি জনাব সৈয়দা আরমিনা আক্তার।

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালাপুর ইউনিয়নের সিরাজনগর গ্রামে তিনি বসবাস করেন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সনাক্ত হওয়ার শুরুর দিন অর্থাৎ সেই ৮ মার্চের পরেই তিনি নিজ ইউনিয়নের সকল নারীনেত্রীদের নিয়ে একটি জরুরি সভা করেন। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, সকলেই যৌথভাবে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতার কার্যক্রম চালাবেন। একই গ্রামের নারীনেত্রী হোসনেয়ারা সুইটিকে সাথে নিয়ে তিনি এলাকায় সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক লিফলেট বিতরণ শুরু করেন। একই সাথে ইউনিয়নের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বার বার হাত ধোয়া, মাস্ক ব্যবহার করা, হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার মেনে চলা এবং শারীরিক দূরত্বের প্রয়োজনীয় উল্লেখ করে ক্যাম্পেইন করেন।

পার্টনার ইন হেলথ ডেভেলপমেন্ট সংস্থার একজন স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে এই সময় তিনি আরো সক্রিয় হয়ে উঠেন। তালিকা অনুযায়ী গর্ভবতী মায়েদের সাথে তিনি ফোনে যোগাযোগ করেন এবং বিভিন্ন পরামর্শ দেন। একই সাথে অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীসহ স্বাস্থ্যপরিদর্শক, ডাক্তার, এম্বুলেন্স এবং হাসপাতালের সাথে নিয়োমিত যোগাযোগ রেখেছেন। একইসাথে আশেপাশের গর্ভবতী মায়েদের নিয়মিত ফলোআপ করছেন।

করোনাভাইরাসের কারণে কালাপাড়া ইউনিয়নের কর্মহীন ১০০ হতদরিদ্র পরিবারের তালিকা তিনি করেছেন। নিজ উদ্যোগে এ সকল পরিবারে খাদ্য উপকরণ (পরিবার প্রতি চাল ১০ কেজি, ডাল ২ কেজি, পিয়াঁজ ২ কেজি, চিনি ১ কেজি, ছোলা ২ কেজি, শেমাই ১ কেজি, তেল ২লিটার) পৌঁছিয়ে দিয়েছেন।

নিজের ক্ষুদ্র সামর্থ্য দিয়ে তিনি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ দুর্যোগের সময় তিনি সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বিশ্বাস করেন, সকলের আন্তরিকতা এবং সম্মিলিত প্রয়াসেই করোনাভাইরাসকে আমরা প্রতিরোধ করতে পারবো।