স্থায়ী কমিটির সামর্থ্য বিকাশ

ইউনিয়ন পরিষদ আইনে স্থায়ী কমিটির বিধান থাকলেও এর বাস্তবায়ন ও চর্চা অত্যন্ত দুর্বল। বিষয়টি নিয়ে তেমন কোনো প্রচারণার ব্যবস্থা না থাকার ফলে জনগণেরও একটি বিরাট অংশ এ বিষয়ে অবগত নন। ফলে একদিকে ইউনিয়ন পরিষদ যেমন সঠিকভাবে কমিটিগুলো গঠন করতে পারছে না, অন্যদিকে যারা কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন তারাও এ বিষয়ে যথেষ্ট সচেতনতা না থাকার কারণে তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারছেন না। বিষয়টি বিবেচনার প্রেক্ষিতে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট স্থায়ী কমিটির সামর্থ্য বিকাশের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে এবং এ বিষয়ে বেশকিছু কার্যক্রম পরিচালনা করে। কার্যক্রমগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো স্থায়ী কমিটির সামর্থ্য বিকাশমূলক কর্মশালা পরিচালনা।

সংজ্ঞা:
ইউনিয়ন পরিষদের সকল স্থায়ী কমিটির প্রত্যেক সদস্যকে নিয়ে স্থায়ী কমিটির ভূমিকা, কার্যাবলী এবং কমিটিসমূহ কার্যকর করার বিভিন্ন কৌশল বিষয়ক দিনব্যাপী পরিচলিত বিশেষ কর্মশালাটিই মূলত স্থায়ী কমিটির সামর্থ্য বিকাশমূলক কর্মশালা নামে পরিচিত।

উদ্দেশ্য:
(১) স্থায়ী কমিটির সকল সদস্যদের নিজেদের মধ্যে পরিচয় ও সৌহার্দ্যমূলক সম্পর্ক গড়ে তোলা;
(২) সদস্যদের মধ্যে স্থায়ী কমিটি বিষয়ক আইনগত বিষয়াবলী সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা;
(৩) আইনানুযায়ী স্থায়ী কমিটির ভূমিকা ও কার্যালী সম্পর্কে সদস্যদের স্পষ্ট ধারণা দেয়া;
(৪) স্থায়ী কমিটির দ্বি-মাসিক সভাগুলো অনুষ্ঠিত হওয়া নিশ্চিত করা;
(৫) পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়নে স্থায়ী কমিটির সহযোগিতা পাওয়ার ক্ষেত্র প্রস্তুত করা;
(৬) ইউনিয়ন পরিষদের কাছে সুপারিশ লেখার বিষয়ে কমিটিকে দক্ষ করে তোলা;
(৭) পরিষদ ও স্থায়ী কমিটির মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ ও সহযোগিতার সম্পর্ক সৃষ্টি করা।

কাঙ্ক্ষিত ফলাফল:
কমিটির সদস্যগণ নিজ নিজ দায়িত্ব, ভূমিকা ও করণীয় চিহ্নিত করতে পারবেন;
পরিষদ ও স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে ইতিবাচক বোঝাপড়ার সম্পর্ক সৃষ্টি হবে;
কমিটির দ্বি-মাসিক সভাগুলো নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে;
কমিটি পরিষদের কাছে বিভিন্ন ইস্যুতে নিয়মিত সুপারিশের মাধ্যমে পরিষদকে কার্যকর করতে ভূমিকা রাখবে;
পরিষদের কাজে গতি আসবে এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার চর্চা চালু হবে;
পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়নের ব্যাপারে কমিটিগুলো কার্যকর ভূমিকা রাখবে।