সহযোগী ভুমিকার যর্থাথতা-অনুকরনীয় দৃষ্টান্ত

লাইলী বেগমের কার্যক্রম নিয়ে এই লেখাটি,লাইলী সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের নীলকন্ঠপুর গ্রামের বাসিন্দা।বিবাহত জীবনে ,দীর্ঘতা প্রায় ১৩ বছর ,দুই সন্তানের জননী,স্বামী ব্যবসায়ী লাইলী ৯৩ তম ব্যাচে নারীনেত্রীর প্রশিক্ষনে অংশ গ্রহন করেন,প্রশিক্ষন পরবর্তী নিজের চেতনাগত ও কতগুলো কার্যক্রম এর গুনগত পরির্বতনে লাইলীর প্রাপ্তী বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ৭,৮,৯ নং ওর্য়াডের সংরক্ষীত আসনে নারী মেম্বার হিসেবে র্নিবাচিত হওয়া।
ইউ.পি সদস্য হিসেবে যর্থাথ দ্বায়িত্বপূর্ণ আচরনের কারনেই প্রন্তিক জনগোষ্ঠির কাছে লাইলী খুব কাছের ও ভরসার মানুষ, এবং এই আস্থার যায়গা থেকে দ্বায়ভারটা অনেক বেশী হওয়ায় মানুষের সকল প্রাপ্যতা তার কাছে অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ। সে কারনে যে কোনো অনিয়মের ক্ষেত্রে তার কাছে কোনো ছাড় নেই, বিশেষ করে নারীদের প্রতি সকল বৈষম্য ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে তিনি সর্বদায়ী আপষহীন।
সম্প্রতীকালে দেশের বাইরে থেকে কিছু প্রবাসী, ঢাকা ও তার আসপাশ থেকে বসবাস করা কিছু মানুষ এলাকায় নিজেদের বাড়িতে চলে আসার কারনে, করনার সংকটটি এই এলাকায় এখন উদ্বেগের কারন হয়ে দাড়িয়েছে।একদিকে করোনার সম্ভাব্য অশনী সংকেত এবং অন্য দিকে এই অবস্থায় ইউনিয়নের অসহায় মানুষের অসহায়ত্ব¡বোধ ও এই দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় লাইলীর দ্বায়িত্ববোধ তাকে ঘরে আটকিয়ে রাখতে পারেনি।
লাইলী ছুটে চলেছে নিয়মিত ইউনিয়নের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত পর্যন্ত, তার বাহন হিসেবে ব্যবহার করছেন তার নিজস্ব স্কুটি আর স্কুটির সাথে রয়েছে সাবান,মাক্স,বিøচিং,হ্যান্ড স্যানিটাইজার সহ করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার সংরঞ্জাম। কখনো লাইলী ছুটে চলেছেন ভ্যানে সাথে রয়েছে চাল,ডাল,তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীর বস্তা। লাইলী নীলকন্ঠপুর গ্রাম উন্নয়ন দলের সভাপতি আর সে জন্যই তার সহযোগী কিছু আপন মানুষ যারা হাঙ্গার প্রজেক্টের বিভিন্ন ইউনিটের স্বেচ্ছাসেবক,লাইলী নিজের এবং ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দ থেকে ও স্থানীয় বৃত্তবানদের সহযোগীতা সর্বপরী স্বেচ্ছাসেবক গনের কাছ থেকে প্রপ্ত অর্থ ও সহায়তা নিয়ে ছুটে চলেছেন নিরন্তন এবং অসহায় মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিচ্ছেন প্রতিনিয়ত সহযোগিতার হাত।
লাইলী এ পর্যন্ত প্রায় ২০০ পরিবারের মাঝে চাল,ডাল,তেল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী বিতরন করেছেন,২৫০ টি পরিবারের মাঝে সাবান, ১৫০ টি পরিবারের মাঝে মাক্স এবং ৭,৮,৯ নং ওর্য়াডের প্রায় সকল যায়গায় জিবানুমুক্ত স্প্রে দিয়ে এলাকা টি জিবানু মুক্ত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন, তার এই র্কাযক্রম চলমান।
লাইলীর সকল কার্যক্রম থেকে স্থানীয় মানুষের অসহায়ত্বের মাঝে একটু হলেও আগামী দিনের সম্বাবনা ও আশা জাগিয়ে তুলছে। এই কাজটি আমাদের ও স্থানীয় সকল মানুষের কাছে, অনেক বড় ও ব্যপক।