বৃক্ষরোপণ

সারাবিশ্বে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচিত হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে বিগত সময়ে এমডিজি এবং বর্তমানে এসডিজি-তে পরিবেশের ভারসাম্য বিষয়টি গুরুত্বের সাথে স্থান পেয়েছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার সাথে বৃক্ষরোপণ বিষয়টি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। বাংলাদেশে বনভূমি থাকা উচিত ২৫ শতাংশ; যেখানে বর্তমানে বনভূমি রয়েছে ১৬ শতাংশ মাত্র। এই ঘাটতি পূরণে ব্যক্তিগত ও সামাজিক ঊদ্যোগে ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই।

সংজ্ঞা:
বৃক্ষরোপণ প্রচারাভিযান হলো বাংলাদেশের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষরোপণের উপকারিতা বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিমূলক একটি সমন্বিত উদ্যোগ।

উদ্দেশ্য:
ইউনিয়ন পর্যায়ে মানুষের মধ্যে বৃক্ষরোপণের উপকারিতা বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা, যাতে তারা ব্যক্তিগত ও সামাজিক ঊদ্যোগে ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ করতে উৎসাহিত হয়।

কাঙ্ক্ষিত ফলাফল:
ইউনিয়ন তথা গ্রাম পর্যায়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বৃক্ষরোপণের উপকারিতা বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা।
ইউনিয়ন পর্যায়ে বিদ্যালয়গামী ছাত্র- ছাত্রীদের মধ্যে বৃক্ষরোপণের উপকারিতা বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা, যাতে তারা তাদের পরিবার ও প্রতিবেশীদের এ বিষয়ে সচেতন করতে পারে।
সাধারণ মানুষ ও ছাত্র-ছাত্রীগণ ব্যক্তিগত ঊদ্যোগে নিজেদের ফাঁকা জায়গায় ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ করতে উৎসাহিত হবেন।
সামাজিক ঊদ্যোগে সম্মিলিতভাবে সড়কের পাশে, বিদ্যালয়, মসজিদ, মন্দির, কবরস্থান, শশ্মান কিংবা অন্যান্য ফাঁকা জায়গায় ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ করতে উৎসাহিত হয়।

প্রসঙ্গত, বৃক্ষরোপণ বিষয়ক প্রচারাভিযান ছাড়াও দূষণমুক্ত পরিবেশ ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট এবং স্বেচ্ছাব্রতীরা সারাদেশে বিভিন্ন সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক প্রচারাভিযানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করছে। উল্লেখ্য, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট ‘বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন’ এর সক্রিয় সদস্য হিসেবেও পরিবেশ সুরক্ষায় সক্রিয় রয়েছে।