দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা রেখেছেন রহিমা বেগম

করোনাআতন্কে সারা বিশ্বের মানুষ যখন জীবন বাঁচানোর জন্য গৃহবন্দী সেই সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অবলা প্রাণীদের জীবন বাঁচাতে এগিয়ে এসেছেন রাজশাহী জেলার পবা উপজেলা বড়গাছি ইউনিয়নের বড়গাছি গ্রামের নারীনেত্রী রহিমা বেগম। নিজ উদ্যোগে বড়গাছি ইউনিয়নের সকল নারীনেত্রীদের নিয়ে সভা করেন। সভার সিন্ধান্ত নেন প্রত্যেকে নিজনিজ এলাকায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা করা এবং বিভিন্নভাবে সহযোগীতার কাজ করবেন। তিনি বিকশিত নারী নেটওর্য়াকের কেন্দ্রীয় কার্যর্নিবাহী কমিটির কোষাধ্যক্ষ।

তিনি কর্মসূচির মধ্যে নিজ এলাকায় ৫০টি পরিবারে লিফলেট বিতরণ , বার বার হাত ধোয়া, হাত ধোয়ার অনুশীলন করানো, মাস্ক ব্যবহারের নিয়ম, ৫০টি পরিবারে মাস্ক বিতরণ, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা, কিটনাশক ছিটানো, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা থাকা এবং বড়গাছি ইউনিয়নে মাইকিং করেছেন।

যেখানে মানুষের জীবন-যাপন দূর্বিসহ সেখানে পশু-পাখিদের বিষয়ে কেউ আমলে নিচ্ছেন না। স্বাভাবিক সময়ে যে সকল কুকুর দৌড়ে ছোটে খাবার সংগ্রহ করত, পাখিরা ও তাদের খাবার আহরণ করত। আজ এমন পরিস্থিতিতে তাদের খাবারের উৎস হারিয়ে গেছে, খাবার খুঁজে পাচ্ছেনা । তাদের বাড়ীর আশ-পাশ, গ্রাম-মহল্লায় যে সকল কুকুর সারা রাত-দিন ঘুরে বেড়ায় তাদের অনাহারের কথা চিন্তা করে প্রতিদিন নিজেদের রাতের খাবারের সাথে ৫/৭টি কুকুরের জন্য খাবার তৈরী করছেন এবং কুকুরগুলো প্রতি রাতে খেয়ে যায়। তিনি বাড়ীর পাশে প্রতিদিন ২৫০গ্রাম চাল ছিটিয়ে দেন পাখিদের জন্য।

অন্যদিকে হতদরিদ্র্যদের ২০০টি পরিবারের তালিকা তৈরী করে আর্থিক সহযোগিতার জন্য ক্যাব ও ব্র্যাক পল্লী সমাজ সংগঠনে যোগাযোগ করে দিয়েছেন। ২০০ জনের হতদরিদ্র্যের মোবাইল নম্বর  ক্যাব সংগঠনে জমা দিয়েছেন। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের একটি ওর্য়াডে যে পরিমান বরাদ্দ সেখান থেকে আরো বেশী  নিজ গ্রামের ২০টি পরিবারের জন্য সংগ্রহ করে বিতরণ করেছেন। নিজ এলাকার জন্য আর্থিক সহযোগিতার কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। তিনি সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান, এ র্দূযোগ সকলে মিলে মোকাবেলা করতে হবে।