জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা


১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাব্রতী সংস্থা ‘দি হাঙ্গার প্রজেক্ট’-এর উদ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ১৬ আগস্ট ২০১৮, সকাল ১১.০০টায় মোহাম্মদপুরে অবস্থিত সংস্থার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ‘দি হাঙ্গার প্রজেক্ট’-এর উপ-পরিচালক (কর্মসূচি) নাছিমা আক্তার জলি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার দিলীপ কুমার সরকার।

আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার জমিরুল ইসলাম, প্রোগ্রাম ম্যানেজার আহসানুল কবির, প্রজেক্ট ম্যানেজার জনাব মাহমুদ হাসান মিলু, প্রজেক্ট ম্যানেজার সৈকত শুভ্র আইচ মনন, মনিটরিং ইভ্যুলুশন অ্যান্ড লার্নিং অ্যাডভাইজর আব্দুল্লাহ আল মামুন, অ্যাকাউন্টস অফিসার হাবিবুর রহমান মোল্লা, সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার শাহ আলম সবুজ, সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার তুহিন আফসারী, প্রোগ্রাম অফিসার মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল, তনুজা কামাল, সাইফুল সারওয়ার, মাহমুদ হাসান রাসেল এবং নেসার আমিন প্রমুখ।

সভার শুরুতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-সহ নিহত সকলের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

সভায় বক্তারা বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি। তাঁর ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আমরা তাঁকে গভীরভাবে স্মরণ করছি, শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি এবং তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।’

বক্তারা বলেন, ‘বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় অর্জন হলো আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা। আর এ গৌরব অর্জনের মহানায়ক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন এবং এদেশের মানুষের মুক্তিই তাঁর জীবনের মূল লক্ষ্য ও আদর্শ। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নেই তিনি আজীবন আন্দোলন-সংগ্রাম করে গেছেন, জীবনের একটা বড় সময় জেলে কাটিয়েছেন। কিন্তু তিনি অন্যায়ের কাছে কখনো মাথা নত করেননি।’

বক্তারা আরও বলেন, ‘পঁচাত্তুরের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে হত্যা করা হয়। খুনিরা ভেবেছিল, এর মাধ্যমে ইতিহাস থেকে তাঁর নাম মুছে যাবে। কিন্তু ইতিহাস চলে তার নিজস্ব পথে। নতুন প্রজন্মের কাছে তিনি আজও মহানায়ক, তিনি বাঙালি জাতির স্বপ্নের দিশারী। তাঁর ৭ই মার্চের ভাষণ এখনো দেশের আপামর মানুষকে উদ্দীপিত করে এবং অন্যায় ও বৈষ্যমের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে সাহস যোগায়।’

বক্তারা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যে আদর্শ ধারণা করেছিলেন, যে আদর্শের জন্য জীবন দিয়েছেন তা ছিল একটি শোষণমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তোলা। আমরা যদি সেই আদর্শ ধারণ করি এবং তা বাস্তবায়ন করতে পারি তবেই তাঁর প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হবে।’

উল্লেখ্য, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-এর কেন্দ্রীয় কার্যালয় ছাড়াও আঞ্ছলিক কার্যালয়গুলো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও শোক র‌্যালির আয়োজন করা হয়।