কোভিড’১৯ প্রতিরোধে সংরক্ষিত আসনের সদস্য হিসেবে এলাকায় গুরুত্বর্পূণ ভূমিকা রাখছেন চরমহল্লা ইউনিয়নে নারীনেত্রী জনাব হাফসা বেগম।

সুনামগঞ্জ জেলা ছাতক উপজেলার চরমহল্লা ইউনিয়নে ছোট চরগোবিন্দ গ্রামের দি হাঙ্গার প্রজেক্ট -বাংলাদেশ এর বিকশিত নারীনেটওর্য়াকের নারী নেত্রী, চরমহল্লা ইউনিয়নের ৭,৮,৯ সংরক্ষিত আসনের সদস্য জনাব হাফসা বেগম।
তিনি স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হিসেবে চরমহল্লা ইউনিয়নের ৩টি ওয়ার্ডের যে সকল গ্রাম আছে, সকল গ্রামে কোভিড’১৯ এর বিষয়ে সচেতনতামূলক আলোচনা চালাচ্ছেন। অন্যদিকে নিজ গ্রামে তারঁ নেতৃত্বে উজ্জীবক, নারীনেত্রী, গ্রাম উন্নয়ন দলের সাথে যৌথভাবে সমন্বয় করে লিফলেট বিতরণ, এলাকায় মাইকিং করা, বার বার হাতধোয়ার পদ্ধতি অনুশীলন, মাস্ক ব্যবহার করা, বাড়ীর আশে-পাশে পরিস্কার রাখা, যেথানে-সেখানে হাচিঁ-কাশি,থুথু না ফেলা সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ঘরে অবস্থান করতে বলেন। তাছাড়া ২টি পরিবারকে হোমকোয়ারেন্টেনে রেখে নিয়মিত ফলোআপ করেছেন। চরমহল্লা ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন গুরুত্বর্পূণ স্থানে ২০০টি মাস্ক এবং ২০০টি হাতধোয়ার সাবান বিতরণ করেন।
কোভিড’১৯ মহামারিতে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দকৃত ত্রাণ নির্দিষ্ট জনগনের মাঝে বিতরণ করেন। নিজ উদ্যোগে এলাকার বিত্তবান ব্যক্তির সহায়তা এবং পরিচিত লন্ডনপ্রবাসী বন্ধুর আর্থিক সহায়তায় একটি তহবিল গঠন করেন। সেখানে চরমহল্লা ইউনিয়নের হতদরিদ্র ৩০০টি পরিবারে তালিকা করেন। প্রতিপরিবারে (১০কেজি চাল, ২ লিটার তেল, ২ কেজি পিয়াঁজ, ২ কেজি আলু এবং ২টি করে সাবান) খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন এপ্রিল ২০২০।
তাছাড়া নিজ উদ্যোগে উজ্জীবক, নারীনেত্রী, গ্রাম উন্নয়ন দলের সদস্যগণ যৌথভাবে আর্থিক সহায়তায় চরমহল্লা ইউনিয়নের শাহপুর, শাখাইতি ও ভোলাকালি এই ৩ টি গ্রামের যারা কারো কাছে শেয়ার/বলতে পারে না এমন মধ্যবিত্ত ৫০টি পরিবারে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। জনপ্রতি ১লিটার সোয়াবিন, ২ কেজি আলু, ১ কেজি ময়দাও ৫০০ গ্রাম ছোলা দেওয়া হয়।
বিতরণে উপস্থিত ছিলেন উজ্জীবক আলী আকবর, নারীনেত্রী হাফছা বেগম, গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সদস্য আফতাব উদ্দিন, জামিল মিয়া, জসীম তালুকদার।
কাজটি সমন্বয় করেন দি হাঙ্গার প্রজেক্টের ইউনিয়ন সমন্বয়কারী হারান চন্দ্র ধর। আয়োজকবৃন্দ উপস্থিত সবাইকে মহামারি করোনা প্রতিরোধে সতর্ক থাকার আহবান জানানএবং পাশাপাশি এমন অসহায়দের সহযোগীতায় সমাজের ধনীদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান।