উন্মুক্ত বাজেট অধিবেশন

ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০০৯-এর ৫৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদ প্রতি অর্থবছর শুরুর কমপক্ষে ৬০ দিন পূর্বে ওয়ার্ডসভার অগ্রাধিকার, স্থায়ী কমিটিসমূহের সুপারিশ এবং ইউনিয়ন পরিষদের পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা অনুসরণ (নির্ধারিত পদ্ধতি) করে আগামী অর্থবছরের জন্য সম্ভাব্য আয় ও ব্যয় বিবরণী সম্বলিত বাজেট প্রণয়ন করবে। প্রস্তুতকৃত বাজেট স্থায়ী কমিটিসমূহ এবং স্থানীয় জনসাধারণের উপস্থিতিতে ইউনিয়ন পরিষদ সচিব উপস্থাপন করবেন। সভাটি ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট অধিবেশন হিসেবে পরিগণিত হবে।

সংক্ষিপ্ত সংজ্ঞা:
আইনানুযায়ী প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক প্রতি অর্থবছর শুরুর ৬০ দিন পূর্বে নির্ধারিত ছকে প্রস্তুতকৃত সম্ভাব্য আয় ও ব্যয় বিবরণী ইউনিয়নের জনসাধারণের উপস্থিতিতে পেশের আনুষ্ঠানিকতাকে ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বার্ষিক বাজেট অধিবেশন বলে। উক্ত অধিবেশনে জনসাধারণ চলতি অর্থবছরের বাজেট এবং আগামী অর্থবছরের বাজেটের ওপর প্রশ্ন করার সুযোগ পায়। সংশ্লিষ্ট স্থায়ী কমিটি এবং প্রকল্পভিত্তিক কিংবা ইউনিয়নের উন্নয়নে জনস্বার্থে যে কোনো প্রশ্ন হতে পারে। চেয়ারম্যান, সদস্য, সকল স্থায়ী কমিটি, সরকারি দপ্তর প্রধান, বেসরকারি সংস্থা, ইউনিয়নের সকল প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানসহ সাধারণ নাগরিকদের উপস্থিতিতে বাজেট অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। বাজেট অধিবেশনে সংশ্লিষ্ট সকলের উপস্থিতি ইউনিয়ন পরিষদের রাজস্ব আদায় তথা আয় বৃদ্ধিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।

উদ্দেশ্য:
(১) জনগণের চাহিদার নিরিখে বাজেট করা,
(২) স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার চর্চা করা,
(৩) বাস্তবায়িত ও পরিকল্পিত কার্যক্রম স¤পর্কে জনগণকে স্বচ্ছ ধারণা দেয়া,
(৪) ইউনিয়ন পরিষদকে পেশাদারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা,
(৫) এসডিজি-এর আওতাভুক্ত কার্যক্রমকে পরিকল্পনা ও বাজেটের আওতায় আনা,
(৬) সুশাসনের পথ সুগম করা,
(৭) রাজস্ব প্রদান তথা আয় বৃদ্ধিতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ বৃদ্ধি করা; এবং
(৮) ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রমে জনঅংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা ও জনসাধারণের সহায়তার ক্ষেত্রগুলো উন্মোচিত করা।

প্রত্যাশিত ফলাফল:
(১) প্রতিবছর ইউনিয়ন পরিষদসমূহ নিজেদের উদ্যোগে বার্ষিক বাজেট অধিবেশন আয়োজন করবে,
(২) জনগণের চাহিদার নিরিখে বাজেট প্রণীত হবে,
(৩) স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার চর্চাসহ গণতন্ত্রের চর্চা সমুন্নত থাকবে
(৪) বাস্তবায়িত ও পরিকল্পিত কার্যক্রম স¤পর্কে জনগণকে স্বচ্ছ ধারণা পাবে,
(৫) এসডিজি-এর আওতাভুক্ত কার্যক্রমকে পরিকল্পনা ও বাজেটের আওতায় আসবে,
(৬) সুশাসনের পথ সুগম হবে,
(৭) রাজস্ব প্রদান ও তথা আয় বৃদ্ধিতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা হবে এবং ইউনিয়নের আভ্যন্তরীণ সম্পদ বৃদ্ধি পাবে,
(৮) ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রমে জনঅংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাবে ও জনসাধারণের সহায়তার ক্ষেত্রগুলো উন্মোচিত হবে।

প্রসঙ্গত, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট তার কর্মভুক্ত ইউনিয়নগুলোতে ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট অধিবেশন আয়োজনে কারিগরি সহায়তা প্রদান করে।