ওয়ার্ডসভা

ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০০৯ এর ৪নং ধারা অনুযায়ী, ‘প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদ প্রতি অর্থ বৎসরে কমপক্ষে দু বার ওয়ার্ডসভার আয়োজন করবে। এক্ষেত্রে প্রতিটিওয়ার্ড হতে কমপক্ষে ৫ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক।’ নির্ধারিত দিনে ইউপি সদস্যভোটারদের নিয়ে নির্ধারিত পদ্ধতিতে ওয়ার্ডসভা পরিচালনা করবেন। ওয়ার্ডসভার মধ্য দিয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, স্থানীয় পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, একইসাথে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির উপকারভোগী বাছাইকরণ প্রক্রিয়ায় ওয়ার্ডের সকল ভোটারের সম্মতির ভিত্তিতে অগ্রাধিকার নির্ণয় এবং সামাজিক সমস্যা সমাধানে দায়িত্ব গ্রহণের মাধ্যমে সুস্থ গণতান্ত্রিক চর্চা অব্যাহত রাখা এ সভার কাজ। শুধু আইনি বাধ্যবাধকতা নয়, স্থানীয় পর্যায়ে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ওয়ার্ডসভা অত্যন্ত কার্যকর মাধ্যম।

সংক্ষিপ্ত সংজ্ঞা:
ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০০৯ এর ৪নং ধারা অনুযায়ী, প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে প্রতিটি ওয়ার্ডের ন্যূনতম পাঁচ শতাংশ ভোটারের অংশগ্রহণে ভোটারদের সম্মতিতে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের চাহিদা ও অগ্রাধিকার নিরূপণ, স্থানীয় পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির জন্য উপকারভোগী নির্বাচন, সামাজিক সমস্যা সমাধানে দায়িত্ব গ্রহণ, ইউনিয়ন পরিষদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ ইত্যাদি লক্ষ্যকে সামনে রেখে বছরে কমপক্ষে দু বার ওয়ার্ড পর্যায়ে যে সভার আয়োজন করা হয় তাকে ওয়ার্ডসভা বলে।

উল্লেখ্য, ওয়ার্ডসভা স্থানীয় পর্যায়ে জনগণের পার্লামেন্ট হিসেবে বিবেচিত হবে। যেখানে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সদস্য স্পিকারের ভূমিকা পালন করবেন। সংরক্ষিত আসনের ওয়ার্ড সদস্য এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান স্থানীয় বাস্তবতার আলোকে ওয়ার্ড সদস্যকে পরামর্শ প্রদান করবেন।

উদ্দেশ্য:
ওয়ার্ডসভার মূল উদ্দেশ্যসমূহ হচ্ছে-
(ক) উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের চাহিদা ও অগ্রাধিকার নিরূপণ;
(খ) স্থানীয় পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ;
(গ) সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির জন্য উপকারভোগী নির্বাচন
(ঘ) ইউনিয়ন পরিষদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, জন-অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ ও কর আদায়,
(ঙ) সামাজিক সমস্যার টেকসই সমাধানে সামাজিক গণ-আন্দোলন গড়ে তোলা ইত্যাদি।

প্রত্যাশিত ফলাফল:
(১) তৃণমূলে গণতন্ত্রের চর্চা উৎসাহিত হবে এবং ইউনিয়ন পরিষদের সাথে জনগণের দূরত্ব কমে যাবে,
(২) ইউনিয়ন পরিষদ পেশাদার প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেদের উৎকর্ষ সাধন করবে,
(৩) স্বেচ্ছাব্রতীদের উদ্যোগকে উৎসাহিত করে সামাজিক পুঁজি ও সামাজিক আন্দোলন গড়ে উঠবে,
(৪) এসডিজি ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠায় ইউনিয়ন গড়ে উঠবে;
(৫) বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও জনসাধারণের উদ্যোগে স্বেচ্ছাব্রতী কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাবে।

প্রসঙ্গত, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট তার কর্মভুক্ত ইউনিয়নগুলোতে ওয়ার্ডসভা আয়োজনে কারিগরি সহায়তা প্রদান করে।