প্রত্যাশা, প্রতিশ্রুতি ও কার্যক্রম বিষয়ক কর্মশালা

‘প্রত্যাশা, প্রতিশ্রুতি ও কার্যক্রম’ বিষয়ক কর্মশালাটি ক্ষুধামুক্তির আন্দোলনে স্থানীয় নারী-পুরুষকে সম্পৃক্ত করার এবং তাদের মধ্যে প্রত্যাশা সৃষ্টির হাতিয়ার হিসেবে পরিচালনা করা হয়। এলাকার সাধারণ নারী-পুরুষ যারা নিজেকে জয় করতে চায়, সমাজের বিদ্যমান বাস্তবতার পরিবর্তন চায় এবং যারা উদ্যোগী কেবল তাদের জন্যই এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালা আয়োজন করার পূর্বে নির্বাচিত এলাকায় স্থানীয় নারী-পুরুষের সাথে ব্যক্তিগত যোগাযোগ, উঠান বৈঠক ও ঘরোয়া আলোচনা ইত্যাদির মাধ্যমে কর্মশালার পটভূমি তৈরি করতে হয়। এই কর্মশালা গণজাগরণ তৈরি করার একটি অন্যতম হাতিয়ার। সারাদেশে স্বেচ্ছাব্রতী তৈরি ও তাদের কাজের সাথে অন্যদের যুক্ত করার জন্য এই কর্মশালার ব্যবহার করা হয়। দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-এর এটি একটি অনন্য সংযোজন। দি হাঙ্গার প্রজেক্ট ভুক্ত পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও এই কর্মশালা পরিচালনা করা হয়। এই কর্মশালার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যে একটি প্রত্যাশা তৈরি করা হয়, সেই প্রত্যাশা অর্জনের জন্য তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয় এবং বাস্তবায়নের জন্য নির্দিষ্ট কার্যক্রম গ্রহণ করে।

কর্মশালার উদ্দেশ্য:
ক্ষুধামুক্ত আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে একদল মানুষের মধ্যে প্রত্যাশা জাগিয়ে তোলা এবং তা অর্জনে তাদেরকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ও সুনির্দিষ্ট কার্যক্রম গ্রহণে অনুপ্রাণিত করা।

কাঙ্ক্ষিত ফলাফল:
কর্মশালা শেষে অংশগ্রহণকারীরা–
(১) নিজের এলাকার বিভিন্ন সফলতা চিহ্নিত করবেন এবং এলাকার একজন অধিবাসী হিসেবে গর্ববোধ করবেন;
(২) নিজের এলাকার সমস্যাসমূহ চিহ্নিত করবেন এবং উপলদ্ধি করবেন যে, নিজেরা দায়িত্ব নিলে অনেক সমস্যা সমাধান সম্ভব;
(৩) নিজের এলাকাকে কেমন দেখতে চাই , তার একটি ভিশন (রূপকল্প) তৈরি করা এবং এই ভিশন বাস্তবায়নের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করা;
(৪) প্রত্যাশিত আত্মনির্ভরশীল গ্রাম গড়ে তোলা সম্ভব, নিজে দায়িত্ব নিলে সম্ভব, স্বল্প খরচে অন্তত শুরু করা সম্ভব– এই আত্মোপলব্ধি সৃষ্টি হবে;
(৫) সুনির্দিষ্ট কার্যক্রম চিহ্নিত করবেন।