দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-এর উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত

১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাব্রতী সংস্থা ‘দি হাঙ্গার প্রজেক্ট’-এর উদ্যোগে কেন্দ্রীয়ভাবে এবং সংস্থার আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোতে স্মরণসভা-সহ নানান কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

কেন্দ্রীয়ভাবে ১৫ আগস্ট ২০২৩, মঙ্গলবার, সকাল ১১.০০টায় রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুরে অবস্থিত সংস্থার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ‘দি হাঙ্গার প্রজেক্ট’-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ও গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. বদিউল আলম মজুমদার। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার দিলীপ কুমার সরকার।

স্মরণসভায় বক্তব্য দেন দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-এর পরিচালক (কর্মসূচি) নাছিমা আক্তার জলি, সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার শশাঙ্ক বরণ রায়, প্রকল্প পরিচালক শরিফুল হক, প্রকল্প কর্মকর্তা একেএম রিয়াজ উদ্দিন, সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার তুহিন আফসারী, সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার নেসার আমিন, প্রকল্প কর্মকর্তা খাদিজা ইসলাম প্রমুখ। সভায় উপস্থিত ছিলেন দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-এর পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) স্বপন কুমার সাহা।

সভার শুরুতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-সহ নিহত সকলের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সভায় দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-এর প্রকল্প কর্মকর্তা শ্যাম দাস শোক সঙ্গীত পরিবেশন করেন এবং প্রকল্প কর্মকর্তা উত্তম সরকার ১৫ আগস্টে নিহত শেখ রাসেলকে নিয়ে লেখা একটি সংগীত পরিবেশন করেন।

সভাপতির বক্তব্যে ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং ১৫ আগস্টে নিহত অন্য সবার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। বঙ্গবন্ধু নেতা হিসেবে ছিলেন অনন্য। তিনি স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে পেরেছিলেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার, সাম্য ও স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। তিনি ৭ মার্চের ভাষণে দেশকে স্বাধীন করে তোলার জন্য প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলার কথা বলেছিলেন। তাঁর এই বক্তব্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে জনগণ দেশ স্বাধীন করেছিল। বঙ্গবন্ধু বিশাল মনের মানুষ ছিলেন। তিনি ছিলেন দল-মত সবার। আমরা যদি তাঁর অনন্য গুণাবলি ধারণ করতে পারি, তাহলেই তাঁর প্রতি সত্যিকার অর্থে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হবে।’

দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-এর পরিচালক (কর্মসূচি) নাছিমা আক্তার জলি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর কল্যাণেই আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন দেশ, একটি মানচিত্র, একটি পতাকা। তিনি আমাদেরকে মায়ের ভাষায় কথা বলার স্বাধীনতা দিয়েছেন। তিনি জাতিকে একত্রিত করেছেন, আমাদেরকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন। আমি এই মহান নেতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।’

উল্লেখ্য, জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-এর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয় এবং কার্যালয়ের সামনে ড্রপ-ডাউন ব্যানার টাঙানো হয়।

দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-এর বিভিন্ন আঞ্চলিক কার্যালয়েও একই ধরনের কর্মসূচি পালন করা হয়। নিম্নে সে অনুষ্ঠানগুলোর বিবরণ তুলে ধরা হলো:

রংপুর:
১৫ই আগস্ট ‘জাতীয় শোক দিবস’ উপলক্ষে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-বাংলাদেশ রংপুর অঞ্চলের আয়োজনে ও ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার বাংলাদেশ-রংপুর শাখার সমন্বয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-সহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহিদদের স্মরণে স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।

উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন দি হাঙ্গার প্রজেক্টের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রাজেশ দে রাজু, ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গারের সাবেক আঞ্চলিক সমন্বয়কারী তারিফ উল ইসলাম তানিন, ইয়ুথ ইন্ডিং হাঙ্গারের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী আরমান আরাফাত অনিক, যুগ্ম আঞ্চলিক সমন্বয়কারী নাঈম ফেরদৌস এবং ইয়ুথ ইন্ডিং হাঙ্গার-রংপুর এর অন্যান্য ইউনেটের প্রতিনিধি ও ইয়ুথ লিডারগণ।

উক্ত সভায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-সহ সকল শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জীবন ও আদর্শকে লালন করে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।

ময়মনসিংহ:
১৫ আগস্ট ‘জাতীয় শোক দিবস’ উপলক্ষে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-বাংলাদেশ ময়মনসিংহ অঞ্চলের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-সহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহিদদের স্মরণে স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন নারীনেত্রী সেলিনা আক্তার। সভায় বক্তব্য দেন দি হাঙ্গার প্রজেক্টের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী জয়ন্ত কর, এলাকা সমন্বয়কারী এ এন এম নাজমুল হোসাইন, খায়রুল বাশার, নারীনেত্রী আফসানা আহমেদ, ইয়ুথ ইন্ডিং হাঙ্গারের জেলা সমন্বয়কারী আব্দুল্লাহ আল মামুন, ইয়ুথ লিডার রিফাত আহমেদ।

সভার শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-সহ সকল শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করা হয়।

রাজশাহী:
১৫ আগস্ট ‘জাতীয় শোক দিবস’ উপলক্ষে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-এর রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-সহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহিদদের স্মরণে এক স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহিদদের উদ্দেশ্যে এক মিনিট নিরবতার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়।

উক্ত সভায় ১৫ জন ইয়ুথ লিডার এবং দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-এর আঞ্চলিক কার্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উক্ত স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার-এর রাজশাহী আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মো. শাহাদাত হোসেন।

বক্তাগণ বঙ্গবন্বু শেখ মুজিবর রহমানের রাজনৈতিক ও কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক আলোচনা করেন এবং তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনে সকলে নিজ নিজ অবস্থান থেকে পতিত জায়গায় গাছ লাগানোর অঙ্গীকার করেন এবং তাঁর অসমাপ্ত কাজকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তরুণ, যুব ও সুশীল সমাজকে নিয়ে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সভাপতি সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতঙ্গতা জানিয়ে দু ঘণ্টাব্যাপী স্মরণসভার পরিসমাপ্তি ঘোষণা করেন।

সিলেট:
সুনামগঞ্জে অবস্থিত দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ-এর আঞ্চলিক কার্যালয়ের আয়োজনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে ১৫ আগস্ট ২০২৩ মঙ্গলবার বেলা ১১.০০টায় এক স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগ সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সস্তির তালুকদার, শ্রমিক লীগ নেতা মোস্তাক আহমেদ, যুবলীগ নেতা মো. কবির মিয়া, ভূমি অফিসের মো. বাবুল মিয়া, প্রশিক্ষক মো. আজগর আলী, ইয়ুথ লিডার নাজমুল এবং সুজন-এর সদস্য বাবুল আক্তার প্রমুখ।

আলোচনার শুরুতে বঙ্গবন্ধু-সহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরাপত্তা পালন করা হয়। এরপর সংক্ষিপ্তাকারে বঙ্গবন্ধুর জীবনী, ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ও স্বাধীনতার যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।

ঝিনাইদহ:
নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-এর যশোরে অবস্থিত ঝিনাইদহ আঞ্চলিক কার্যালয়ে জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাৎবার্ষিকী পালিত হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল অফিসে ড্রপ ডাউন ব্যানার টাঙানো, জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব ও শেখ ফজলুল হক মনির প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি, মাইক যোগে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচার ও কোরআন তেলাওয়াত, কালো ব্যাজ ধারণ ও দোয়া মাহফিল।

এছাড়া ঝিনাইদহ কার্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত গাংনী এলাকা কার্যালয়েও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাৎবার্ষিকী পালিত হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল অফিসে ড্রপ ডাউন ব্যানার টাঙানো, জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব ও শেখ ফজলুল হক মনির প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি, মাইক যোগে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচার ও কোরআন তেলাওয়াত, কালো ব্যাজ ধারণ ও দোয়া মাহফিল।

স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে করেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী যুবলীগের সহ-সভাপতি ও দি হাঙ্গার প্রজেক্টের স্বেচ্ছাব্রতী মো. সিরাজুল ইসলাম। সঞ্চালনা করেন দি হাঙ্গার প্রজেক্ট এলাকা সমন্বয়কারী মো. হেলাল উদ্দীন। আলোচনার শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মো. রোকনুজ্জামান। এসময় বক্তব্য রাখেন গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক ও দি হাঙ্গার প্রজেক্টের স্বেচ্ছাব্রতী প্রশিক্ষক মো. মহিবুর রহমান মিন্টু, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মো. আজিজুল হক রানু, গাংনী উপজেলা গণগবেষণা ফোরামের সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুর রব, গাংনী পিএফজির কো-অর্ডিনেটর ও কলেজ শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বকুল।

এছাড়াও ঝিনাইদহ অঞ্চলের আওতাভুক্ত খুলনার ডুমুরিয়াতে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট পরিচালিত ‘রাইট টু গ্রো’ প্রকল্পের কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাৎবার্ষিকী পালিত হয়। এতে প্রকল্পের মাঠ ও অফিস পর্যায়ের মোট ৩৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। এ উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচির মধ্যে ছিল কার্যালয়ের সামনে ড্রপ-ডাউন ব্যানার টাঙানো, জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা, স্মরণসভার আয়োজন, কালো ব্যাচ ধারণ, এক মিনিট নীরবতা পালন, পবিত্র কোরআন ও গীতা পাঠ থেকে পাঠ, বঙ্গবন্ধুর জীবনীর ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী এবং জাতির পিতার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোআ মাহফিল।

খুলনা:
১৫ আগস্ট ‘জাতীয় শোক দিবস’ উপলক্ষে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-এর খুলনা কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-সহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহিদদের স্মরণে এক স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে কার্যালয়ের সামনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে উত্তোলন করা হয় এবং একটি ড্রপ ডাউন ব্যানার টাঙানো হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ ই আগস্টের সকল শহীদদের স্মরণে একটি স্মরণসভারও আয়োজন করা হয়। সভায় ১৫ আগস্টে নিহত শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনাদর্শ, সংগ্রামী জীবন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়।

এছাড়া সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট পরিচালিত ‘সহনশীলতা, সম্প্রীতি ও বহুত্ববাদের চেতনায় তরুণ নেতৃত্ব বিকাশ’ প্রকল্পের আয়োজনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাৎবার্ষিকী পালিত হয়। এতে স্থানীয় যুব প্রতিনিধি, প্রকল্পের সকল ইউনিয়ন সমন্বয়কারী, উপজেলা সমন্বয়কারী এবং সংস্থার কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে আগত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভার শুরুতে ১৫ আগস্টে নিহত শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সভায় বক্তব্য দেন আবু বক্কর সিদ্দিকী রুবেল, সুখময় পাল, রাসেল আহমেদ, শাহিনুর রহমান, তাহমিন খাতুন, ইদ্রিস আলী, আনিসুর রহমান ও আশা ঘোষ প্রমুখ।

এছাড়াও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-এর বাগেরহাট কার্যালয়ের উদ্যোগে এক স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন এস কে এ হাসিব। আলোচনা সভার শুরুতে ১৫ আগস্টে নিহত শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন এসপিএল প্রকল্পের ডিস্ট্রিক্ট ফ্যাসিলিটেটর সুকমল মন্ডল, ইয়ুথ মোবিলাইজেশন অফিসার মোস্তাহিদুল ইসলাম, ইউনিয়ন কো-অর্ডিনেটর মোল্লা মনিরুজ্জামান, ইয়ুথ লিডার নিম্মি ও ফারজানা পায়েল। এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে বাগেরহাট সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল ব্লাড গ্রুপিং ও স্মরণসভার আয়োজন।

কুমিল্লা:
১৫ আগস্ট স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ কুমিল্লার আঞ্চলিক কার্যালয়ে (লাকসাম) এক স্মরণসভা, মিলাদ মাহফিল, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

সংস্থার আঞ্চলিক সমন্বয়কারী সৈয়দ মো. নাছির উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও ইউপি সমন্বয়কারী মো. সাফায়েত হোসেনের সঞ্চালনায় স্মরণসভাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন সুজন লাকসাম কমিটির সভাপতি কাজী খোরশেদ আলম, লাকসাম প্রেসক্লাবের সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও বিহঙ্গ সাহিত্য পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক শহীদুল ইসলাম শাহীন, সাপ্তাহিক কুমিল্লার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জাফর আহম্মেদ, সাবেক ব্যাংকার রতন লাল চন্দ্র দাশ, যুব নেতা গোপাল সাহা, নারীনেত্রী নাজমুন্নাহার নুপুর, প্রভাষক মো. আহসান হাবিব, শিক্ষানুরাগী প্রবীর সাহা প্রমুখ। দোয়া ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

বরিশাল:
‘জাতীয় শোক’ দিবস উপলক্ষে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-বাংলাদেশ বরিশাল অঞ্চলের আয়োজনে ও ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার বরিশাল শাখার সমন্বয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-সহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহিদদের স্মরণে এক স্মরণসভা আয়োজন করা হয়।

উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন দি হাঙ্গার প্রজেক্টের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মেহের আফরোজ মিতা, এলাকা সমন্বয়কারী মেহেদী হাসান তানভীর, ইয়ুথ ইন্ডিং হাঙ্গার বরিশাল অঞ্চলের বিভিন্ন ইউনিটের প্রতিনিধি, উজ্জীবক, ইয়ুথ লিডার ও নারীনেত্রীবৃন্দ।

সভার শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-সহ সকল শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও আদর্শকে লালন করে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।

চট্টগ্রাম:
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগস্টের সকল শহীদের স্মরণে এক স্মরণসভার আয়োজন করে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ চট্টগ্রাম অঞ্চল। স্মরণসভাটি ১৫ আগস্ট সকাল ১১.০০টায় কক্সবাজারের চকরিয়া কাঁশবন রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড স্ন্যাকবারে অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার চকরিয়া উপজেলার সাবেক সমন্বয়কারী ও চকরিয়া উপজেলা পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ-পিএফজির সদস্য আরাফাত চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার কক্সবাজার জেলার অফিস সম্পাদক মো. খায়রুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন সংস্থার এলাকা সমন্বয়কারী মো. মাইনুল ইসলাম। সঞ্চালনা করেন দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলার ইয়ুথ মোবিলাইজেশন অফিসার আরমান মাহমুদ। উক্ত স্মরণসভায় ৩০ জন নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে সকল শহীদের স্মরণ করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে মোনাজাত পরিচালনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।