ইয়ূথ লিডারশীপ প্রশিক্ষণ

একটি শান্তি ও সৌহার্দ্যরে পৃথিবী গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে একদল তরুণ-তরুণীর মাঝে আস্থা ও বোঝা-পড়া সৃষ্টি এবং ইয়ুথ লিডার হিসেবে গড়ে উঠতে অনুপ্রাণিত, সংগঠিত ও ক্ষমতায়িত করতে ইয়ুথ লিডারশিপ প্রশিক্ষণ পরিচালনা করা হয়।

প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য:
ক্ষুধামুক্ত ও আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশায় একদল তরুণ-তরুণীর মধ্যে আত্মজিজ্ঞাসা ও আত্মোপলব্ধি সৃষ্টির মাধ্যমে তাদেরকে স্বয়ংক্রিয় ও স্বেচ্ছাব্রতী ইয়ুথ লিডার হিসেবে গড়ে উঠতে অনুপ্রাণিত, সংগঠিত ও ক্ষমতায়িত করা, যাতে তারা নাগরিকত্ববোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্থানীয় উন্নয়নে অবদান রাখে।

প্রশিক্ষণের প্রত্যাশিত ফলাফল:
এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রত্যেক অংশগ্রহণকারী–
(১) নিজের পরিচয়, নিজের ও অন্যের সংস্কৃতি সম্পর্কে বোঝার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করবেন। নাগরিক হিসেবে স্থানীয় সমাজ ও বৈশ্বিক সমাজে নিজের অবস্থান ও দায়-দায়িত্ব চিহ্নিত করতে পারবেন এবং এগুলো কীভাবে ব্যক্তির মতামত, দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধ গঠনে সহায়তা করে তা ব্যাখ্যা করতে পারবেন;
(২) দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-এর সকল কার্যক্রম ও কর্মকৌশল সম্পর্র্কে নিবিড়ভাবে ধারণা লাভ করবেন।
(৩) স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের সফলতা জন্য গর্ববোধ ও বিরাজমান ক্ষুধা-দারিদ্র্যের/দুরবস্থার জন্য যন্ত্রণা অনুভব করবেন। ক্ষুধা-দারিদ্র্য/দুরবস্থা কীভাবে টিকে থাকে তা ব্যাখ্যা করতে পারবেন এবং তা পরিবর্তনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হবেন;
(৪) অনুধাবন করবেন যে, ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য একটি সমবেত প্রত্যাশা সৃষ্টি জরুরি এবং সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে ক্ষুধামুক্ত ও আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গঠনের জন্য তাদের মধ্যে সমন্বিত প্রত্যাশা সৃষ্টি হবে;
(৫) সমবেত প্রত্যাশা অর্জনে স্থানীয় পর্যায়ের মানুষকে সংগঠিত ও ক্ষমতায়িত করার কৌশল ও দক্ষতা অর্জন করবেন;
(৬) স্থানীয় চাহিদা নিরূপণ করে পরিকল্পনা মোতাবেক সোশ্যাল অ্যাকশন/সামাজিক উদ্যোগ পরিচালনায় সচেষ্ট হবেন।

উপরোক্ত প্রশিক্ষণ ছাড়াও ব্রিটিশ কাউন্সিল-এর সহায়তায় দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-এর সারাদেশে অ্যাকটিভ সিটিজেন ইয়ুথ লিডারশিপ কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। এ কার্যক্রমের সাথে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট ২০০৯ সাল থেকে যুক্ত। এ কর্মসূচি ও প্রশিক্ষণের মূল শ্লোগান– ‘স্থানীয়ভাবে সম্পৃক্ত ও বৈশ্বিকভাবে সংযুক্ত’।