ইউনিয়ন ভিত্তিক কার্যক্রম

ইউনিয়ন ভিত্তিক গণজাগরণ গড়ে তোলার প্রচেষ্টা

অনেক ত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম শিক্ষা হলো: একটি স্বাধীন, সার্বভৌম ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ সৃষ্টির প্রত্যাশায় মানুষ জেগে উঠেছিল, আপামর জনসাধারণ বিশেষতঃ সাধারণ মানুষ এই প্রত্যাশা বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিয়েছিল, এবং স্বাধীনতা আন্দোলনে সাধারণ মানুষের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বলেই একটি আধুনিক অস্ত্রে সুসজ্জিত বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মাত্র নয় মাসে জাতি জয়ী হয়েছিল।


স্বাধীনতা লাভের ৪০ বছর অতিক্রান্ত কিন্তু ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন আজও পুরণ হয়নি। বিগত চার দশকের উন্নয়ন কর্মকান্ডের অভিজ্ঞতা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়:
উন্নয়ন হয়ে পড়েছে কেবল প্রশাসনিক দায়িত্ব, এক্ষেত্রে জনগণকে শুধু অসহায়, অক্ষম ও উপকারভোগী হিসেবে দেখা হয়; দান-খয়রাত বা  সেবা সরবরাহ নির্ভর প্রকল্পায়ন প্রক্রিয়াই ছিল এই উন্নয়ন প্রচেষ্টার মূল কৌশল।

ফলে হাজার হাজার কোটি টাকার বহু প্রকল্প বাস্তবায়ন সত্ত্বেও আমাদের সমাজে ক্ষুধা-দারিদ্র্যের অবসান হয়নি। বরং দারিদ্র্য একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জীবনে অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে। সৃষ্টি হয়েছে পরনির্ভরশীলতার ভয়াবহ এক সংস্কৃতি, অসহায়ত্ব, হাল ছেড়ে দেওয়া, সন্দেহ প্রবণতার বিকৃত মানসিকতা এবং অবাধ দুর্নীতি।

এই প্রেক্ষিতে প্রয়োজন নতুন উন্নয়ন কৌশল। দান-অনুদান বা ‘মানুষের জন্য’ করে দেয়া উন্নয়ন নয়, উন্ন্‌য়ন হতে হবে জনগণের মালিকানায়, জনগণের জন্য এবং জনগণ কর্তৃক, যে শিক্ষা আমরা মুক্তিযুদ্ধ থেকে পেয়েছি।

মুক্তিযুদ্ধের এই চেতনাকে সমুন্নত রেখে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-বাংলাদেশ নারীর অগ্রাধিকার দিয়ে ইউনিয়নভিত্তিক গনজাগরণ সৃষ্টি করার প্রচেষ্টা করছে বিভিন্ন ইউনিয়নে।

নারী মোট জনশক্তির অর্ধেক। আমাদের সামাজে জন্মের পর থেকেই নারীরা অবহেলা, অবদমন ও সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চনার শিকার। হাজার বছর ধরে সমাজে নারীর প্রতি এ অবিচার চলে আসছে। ফলে বেশিরভাগ নারী শিক্ষায়, দক্ষতায়, উৎপাদনশীলতায়, অভিজ্ঞতায়, চেতনায় পুরুষের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে। তাদের পিছিয়ে থাকার ফলে শুধু নারী নিজেই ক্ষতগ্রস্ত হচ্ছে না, একই সাথে পরিবার, সমাজ এমনকি গোটা জাতিকে এর মাশুল দিতে হচ্ছে।

নারীর অপুষ্টি, অশিক্ষা, অধিকারহীনতা আর নির্যাতিত হওয়া আমাদের জাতীয় উন্নতির গতিকে কেবল শ্লথই করে দিচ্ছে না, জাতিকে দিনে দিনে নিয়ে যাচ্ছে আরও পেছনে, আরও অন্ধকারে। এতে জাতি হিসেবে সুষম বিকাশের স্বপ্ন হয়ে উঠছে সুদুর পরাহত।

এ বাস্তবতায় নারী-পুরুষের সমানাধিকার প্রতিষ্ঠা ও জাতীয় সুষম বিকাশের প্রয়োজনে ক্ষুধা-দারিদ্র্য মুক্তির আন্দোলনে নারীকে অগ্রধিকার দিয়ে উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করা খুবই জরুরি। পুরুষের সমকক্ষতায় প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত নারীর বিশেষ অগ্রাধিকার প্রাপ্তি তাদের ন্যায্য দাবি এবং ন্যায্য অধিকার।

এ কার্যক্রম শুরু করতে হবে পরিবার থেকেই। যেহেতু আমাদের দেশে বেশিরভাগ মানুষ গ্রামে বাস করে, সেহেতু  গ্রামের মানুষের সবচে কাছের সরকার ইউনিয়ন পরিষদই পারে নারীর ক্ষমতায়নের একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে। ইউনিয়ন পরিষদেরই রয়েছে নারীকে অগ্রাধিকার ও গুরুত্ব দিয়ে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গ্রহন  এবং  এর সাথে স্থানীয় নারী-পুরুষকে ব্যাপকভিত্তিক সম্পৃক্ত করার সুযোগ।

ইউনিয়ন পরিষদভিত্তিক গণজাগরণের গুরুত্ব :

উন্নয়নের জন্য তৃণমূল পর্যায়ে গণতন্ত্রের বিকাশ অপরিহার্য। ক্ষুধা, দারিদ্র্য, নারীর প্রতি বঞ্চনা, বেকারত্ব, অসচেতনতা, নিরক্ষরতা, পরিবেশ দূষণ ইত্যাদি সমস্যার অধিকাংশই স্থানীয়ভাবে সৃষ্ট। সমস্যা যেখানে বিরাজমান, সেখানেই তার সমাধান হওয়া দরকার এবং তা হওয়া উচিত সমস্যাগ্রস্তদের উদ্যোগে। নিজস্ব সমস্যা সমাধানে জনগণ তখনই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে, যখন  তৃণমূল পর্যায়ে অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।

গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জনগণ যদি অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তাদের সমস্যা চিহ্নিত করতে পারে ও তা সমাধানে পরিকল্পনা নিতে পারে এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ ও ন্যায্য প্রাপ্য সম্পদ পেতে ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, তবেই তারা তাদের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের অবস্থা পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে সক্ষম হতে পারে। শক্তিশালী স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাই এমন একটি প্রক্রিয়া বাস্তবে রূপায়িত করতে পারে। তাই উন্নয়নের জন্য স্থানীয় সরকার, বিশেষত জনগণের সবচেয়ে কাছের সরকার হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদের ভূমিকা অরিসীম।

স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিরা স্বেচ্ছায় জনগণের উন্নয়নের দায়িত্ব নিয়েছে।
কাঠামোগতভাবে কেন্দ্রিয় সরকারের সাথে তাদের একটা যোগসূত্র আছে। সরকারি সুযোগ-সুবিধাগুলো তাদের মাধ্যমে সহজে পাওয়া সম্ভব।    স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিগণ তৃণমূল পর্যায়ের নেতা। সত্যিকারভাবে তাদের ভূমিকার রূপান্তর করা গেলে তাদের পক্ষে সহজেই স্থানীয় জনগণকে আত্মনির্ভরশীল ভবিষ্যতের প্রত্যাশায় জাগ্রত ও সংগঠিত করা সম্ভব হবে এবং কাজটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাবে। ফলে অগ্রাধিকারভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে স্থানীয় সম্পদ একত্রিকরণও সহজ হবে।

তাছাড়া নতুন, পুরোনো সকল উজ্জীবকদের সাথে আলোচনার প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে ইউনিয়ন পরিষদকে কেন্দ্রবিন্দু ধরে কাজ করার। ইউপিকে কেন্দ্রবিন্দু ধরলে উজ্জীবিত, অনুপ্রাণিত করার কাজটি সুনির্দিষ্ট হবে।

ইউনিয়নব্যাপী গণজাগরণ সৃষ্টিতে দি হাঙ্গার প্রজেক্টের ১০টি পদক্ষেপ

১. সূচনামূলক পদক্ষেপ: ক্ষেত্র প্রস্তুতকরণ:

কর্মশালার মাধ্যমে মানুষকে জাগিয়ে তোলা, সংগঠিত করা
জনগণের মধ্যে সম্মিলিত প্রত্যাশা জাগিয়ে তোলা ও ক্ষুধামুক্ত ইউনিয়ন গড়ার কাজে তাদের মালিকানা সৃষ্টিকরণ,
প্রতিটি গ্রামে কমপক্ষে ১০টি কর্মশালা করা,
ইউনিয়নের অন্তত অর্ধেক পরিণত বয়সের মানুষ (৫,০০০ – ১০,০০০) বিশেষত কম বিত্তের নারী-পুরুষ কর্মশালায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে ক্ষুধামুক্ত এলাকা গড়ে তোলার কাজে জড়িত হবেন,
ছোট পরিসরে আলোচনা সভা ও উঠান বৈঠক পরিচালনা করা

২. উজ্জীবক সৃষ্টিকরণের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে একদল স্বেচ্ছাব্রতী নেতৃত্ব সৃষ্টি করা
প্রতিটি ইউনিয়নে নূন্যতম দুটি উজ্জীবক প্রশিক্ষণ- প্রতি গ্রাম থেকে ৫ জন নারী ও ৫ জন পুরুষকে নিয়ে এই প্রশিক্ষণ হবে।
পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সমাজের চিন্তাশীল ব্যক্তি, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক, ইমাম ও বিভিন্ন স্থানীয় সংগঠনের প্রতিনিধিদের উজ্জীবক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
দ্বিতীয় উজ্জীবক প্রশিক্ষণটি হবে শুধু নারীদের নিয়ে।
প্রতিমাসে উজ্জীবকগণ অন্তত একবার পর্যালোচনা সভায় বসবেন।
উজ্জীবকদের কর্মশালা পরিচালনার দক্ষতা সৃষ্টি করা হবে।

৩.  ছাত্র-তরুণদের সম্পৃক্তকরণ:

প্রচারাভিযান এ অন্তত ১৫০-২০০ ছাত্র-ছাত্রীদের সম্পৃক্ত করে
প্রতিটি ইউনিয়নে নূন্যতম একটি ইয়ূথ এন্ডিং হাঙ্গারের ইউনিট গঠন।
প্রতিটি ইউনিটে অন্তত ১৫০-২০০ জন ছাত্র-ছাত্রী জড়িত থাকবে।
প্রতিটি গ্রামের অন্তত ১০ জন ছাত্র-ছাত্রী/ তরুণ-তরুণীকে এ কাজের সাথে জড়িত হবে।
ইউনিটের সদস্যরা উজ্জীবকদের সহায়তায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য ইস্যুভিত্তিক প্রচারাভিযান চালাবেন।

৪.  স্থানীয় পরিকল্পনা প্রণয়নের প্রস্তুতি: দায়িত্বগ্রহণকারী স্বেচ্ছাব্রতী দল/কোর টিম সৃষ্টি
প্রতি গ্রামে ১জন নারী ও ১জন পুরুষকে স্থানীয় পরিকল্পনা ও দৃশ্যমান হাতিয়ার ব্যবহার করার প্রশিক্ষণ প্রদান।
এলাকার নির্বাচিত সদস্য, সক্রিয় উজ্জীবক এবং ইয়ূথ এন্ডিং হাঙ্গার এর সদস্য ও গ্রামীণ নেতৃত্বের সমন্বয়ে স্বেচ্ছব্রতী কোর টিম গঠন করতে হবে।
কোর টিমের সদস্যরা দৃশ্যমান হাতিয়ার ব্যবহার করে জনগণকে সচেতন করবেন।
একটি পল্লী উন্নয়ন কেন্দ্র গঠন করা যেখানে দৃশ্যমান হাতিয়ারের চার্টগুলো প্রদর্শন করা হবে। এখানে গ্রামবাসীরা নিয়মিত বসবে এবং তাদের কাজের পরিকল্পনা এবং গৃহীত কাজের মূল্যায়ন করবে।
প্রতি গ্রাম থেকে একজন নিয়ে ইউনিয়ন ভিত্তিক একটি কোর টিম গঠন করা হবে।

৫.  স্থানীয় পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন
কোরটিমের সদস্যদের সহায়তায় গ্রামবাসীরা একত্রে বসে স্থানীয় পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
দৃশ্যমান হাতিয়ার (অবকাঠামোগত মানচিত্র) ব্যবহারের মাধ্যমে অবকাঠামোগত উন্নয়নের অগ্রাধিকার নির্ণয় ও পরিকল্পনা করা হবে।
মানবিক উন্নয়নের লক্ষ্যে দৃশ্যমান হাতিয়ার (সামাজিক ও সম্পদ মানচিত্র) ব্যবহারের মাধ্যমে সম্পদ চিহ্নিত করা
মানব উন্নয়নের লক্ষ্যে কে, কি, কখন, কিভাবে করবে – এ সকল প্রশ্নের আলোকে এবং স্থানীয় পরিকল্পনার ছক (৪০ পয়েন্টের ছক) ব্যবহার করে গ্রাম ভিত্তিক স্থানীয় পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের পদক্ষেপ চিহ্নিত করা।

৬.  আয়বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম
প্রতিটি ইউনিয়নে সরকারি-বেসরকারি প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সুযোগ-সুবিধাদি ব্যবহার করে আয়বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম উৎসাহিত করা।
কারিগরি ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা বিস্তারের জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে ২০ জন মাষ্টার ট্রেইনার তৈরি করা।
পু্জি গঠনের লক্ষ্যে জনগণকে সঞ্চয়ে উৎসাহিত করা এবং পুঁজির যথার্থ ব্যবহারের জন্য ব্যবস্থাপনা ও হিসাব রক্ষণ পদ্ধতি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদান।
স্থানীয় সরকারি-বেসরকারি অব্যবহৃত সম্পদগুলো (জমি ও জলাশয়) চিহ্নিত করে যৌথ প্রকল্প গ্রহণ।

৭.  স্থানীয় সংগঠন সৃষ্টি
প্রতিটি গ্রামে জনগণের সংগঠন/সেল্ফ হেল্‌প গ্রুপ গড়ে তোলা;
অন্তত একটি নারী সংগঠন গড়ে তোলা;
এসকল সংগঠন স্বেচ্ছাব্রতী মানসিকতার ভিত্তিতে গড়ে উঠবে এবং জনসাধারণ স্থানীয়ভাবে সংগঠনের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করবে;
এ সকল সংগঠন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ দ্বারা পরিচালিত হবে এবং সংগঠনের লক্ষ্যই হবে গ্রামের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে মানুষের সংগঠিত প্রচেষ্টাকে বাস্তবায়ন করা।

৮.  চলমান স্ব-মূল্যায়ন ও পরিবীক্ষণ
পরিকল্পিত ও বাস্তবায়নাধীন কার্যক্রমের নিয়মিত মূল্যায়ন ও পরিবীক্ষণ করা।
কোর টিমের উদ্যোগে প্রতি গ্রামের মানুষের সাথে প্রতি মাসে অন্তত একবার বসা এবং স্থানীয় পরিকল্পনা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ করে একটি চলমান প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠা করবে।
গ্রামবাসীরা সম্মিলিতভাবে দৃশ্যমান হাতিয়ার ও স্থানীয় পরিকল্পনার ছক (৪০ পয়েন্টের ছক) ব্যবহার করে গৃহীত কার্যক্রম স্বমূল্যায়ন পরিবীক্ষণ করবে।

৯.  তথ্যায়ন
কার্যক্রমের সকল পর্যায়ে লিপিবদ্ধকরণ।
বেইজ-লাইন সার্ভে ও পরিবার ভিত্তিক জরিপ পরিচালনা।
কাজের প্রক্রিয়া ও সফলতা লিপিবদ্ধ করা এবং তা থেকে শিক্ষণীয় বিষয় চিহ্নিত করা।
মানুষের ব্যক্তিগত এবং দলবদ্ধ সফলতার কাহিনী  লিখে প্রদর্শন এবং প্রকাশ করা।

১০.  ইউনিয়ন পরিষদকে শক্তিশালীকরণ
মানব উন্নয়ন নিশ্চিতকরণ এবং ইউনিয়ন ভিত্তিক গণজাগরণ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে ইউনিয়ন পরিষদকে শক্তিশালী ও কার্যকর করা।
পরিষদের কার্যক্রম স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করার লক্ষ্যে সকল কার্যক্রমের খতিয়ান ও হিসাব নিকাশ অন্তত একটি বাৎসরিক সভার মাধ্যমে জনগণের সামনে তুলে ধরা।
ইউনিয়ন পর্যায়ের সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে নিয়ে মাসিক সমন্বয় সভা করে সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তিকে স্থানীয় পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজে সম্পৃক্ত করা এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদেরও সহায়তা নেয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.